Ababhash Books Blog
-
‘নুড়ি বাঁদর’ মণীন্দ্র গুপ্ত
“এইখানটাতে সেদিন দুপুরবেলায় আইবেক্সরা চড়ে বেড়াচ্ছিল। এই উঁচুতে পাহাড়ের কোলে একটা প্রাকৃতিক সুরঙ্গ তৈরি হয়েছিল। শব্দ শোনা যায়, সুরঙ্গটির মধ্যে কোথাও তলদেশ থেকে প্রস্রবণ উঠে কলকল ঝরঝর করে বয়ে গিয়ে ওই মুখ দিয়ে বেরিয়ে যায়। সেই জলে প্রাণ সঞ্জীবনী অথবা পাহাড়ের ম্যাজিক খনিজ মেশান ছিল। সেদিন দুপুরবেলায় আইবেস্করা চড়ে... -
‘গ্রন্থ পাঠ, শিল্পকর্ম: রবীন্দ্রনাথ ও রচনার দৃশ্যপট’ স্বপন চক্রবর্তী
“…বইয়ের আকৃতি, প্রচ্ছদ, হরফ ইত্যাদি দিকেও যে কবির সযত্ন মনোযোগ ছিল সে কথা অনেকেই জানেন। ১৩১৫ সনের আশ্বিন মাসে চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ করেন শারদোৎসব নাটক। রেশমে বাঁধানো বইটির মলাটে ছিল বলাকা ও কাশগুচ্ছের ছবি। কার্ত্তিক মাসে ভারতী পত্রিকায় বইয়ের ‘বাহ্য চাকচিক্য ও মুদ্রণের পরিপাট্য’ সম্পর্কে সপ্রশংস মন্তব্য করা হয়। বইটি... -
‘ভূমিকা’ রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য
রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য এবং মলয়েন্দু দিন্দা সম্পাদিত “এর আগে দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের অগ্রন্থিত রচনাগুলি নিয়ে তিনটি সঙ্কলন বেরিয়েছে। সেগুলির সঙ্গে এই বইটির একটু তফাত আছে। এর অন্তর্গত কয়েকটি রচনা কোনোদিন কোনো পত্রিকায় বা সঙ্কলনে বেরোয় নি; হাতে-লেখা বা টাইপ-করা অবস্থায় সেগুলি ফাইল বন্দী হয়েছিল। যেমন, সতীন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সঙ্গে ঘাত-প্রতিঘাতে দেবীপ্রসাদের কোনো প্রতিক্রিয়াই... -
‘আত্মপরিচয় এবং আত্মগঠন’ প্রদ্যুম্ন ভট্টাচার্য
‘তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্যজীবনকে তিনটি পর্বে ভাগ করা যায় : আদি (1928-38), মধ্য (1939-47) আর অন্ত্য (1948-71)। মধ্য পর্বই তাঁর আত্মপ্রতিষ্ঠার কাল। রাজনৈতিক ইতিহাসে পাঁজি অনুযায়ী, তারাশঙ্করের এই মধ্য পর্যায়ের শুরু দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ আরম্ভের কাল থেকে, আর শেষ, ভারতবর্ষের স্বাধীনতা-অর্জনের সালে। এই নয় বছরে তাঁর দশখানি উপন্যাস গ্রন্থাগারে প্রকাশিত হয়- ‘ধাত্রী... -
'কল্পনার সঙ্কট' পরিমল ভট্টাচার্য
“২৬শে নভেম্বর। অন্তরাজ্যীয় স্থানান্তরণ ৩-এর বাতানুকুল পরিবেশ আর কৃত্রিম আলো থেকে বেরিয়ে খোলা চত্বরে পা রাখতেই কার্তিকের উজ্জ্বল সকাল দেখে আচমকা খুশিতে ভরে উঠল মন। সেখানে নাম-লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে অপেক্ষমাণ একসারি মানুষ। নিজের নামটা খুঁজে পেয়ে এগিয়ে যেতে বেড়ার ওপাশ থেকে হাত বাড়িয়ে করমর্দন করলেন নীল স্যুটপরা কড়কড়ে যুবক। জানা... -
‘অর্থবাদ ও বৈদিক দেবতা’ হেমন্ত গঙ্গোপাধ্যায়
“ছোটোবেলার কথা স্পষ্ট মনে আছে, আপনাদেরও অনেকেরই মনে পড়বে- পূজা- পার্বণের সময় মা নারকেলের নাড়ু পাকাচ্ছেন, নিষ্পাপ লুব্ধ কৌতূহলে একটি বালক তাকিয়ে দেখছে, জিভের জল সামলে নিচ্ছে। ‘মা, আমায় একটা দাও না।‘ –‘ছিঃ, ওকথা বলতে নেই, আগে দেবতা খাবেন, পরে তোমরা প্রসাদ পাবে।‘ শুধু নিষ্ফল মিনতি আর চেয়ে থাকাই সার।...