ABABHASH A Kolkata-based Publisher in the Business of Ideas

Recently added item(s) ×

You have no items in your shopping cart.

DANDATATTWA JIJNASA

More Views

DANDATATTWA JIJNASA

Ramkrishna Bhattacharya

₹200.00

Availability: In stock

A Study of the materialist system of philosophy

1st edition: January 2021, 2nd Print: July 2023, ISBN978-93-80732-53-4, 128p.Paperback, 21.5 x 14cm.

OR

Author's other books

Description

Details

A Study of the materialist system of philosophy
Additional Information

Additional Information

eBook Link No
eBook Price No
Author Ramkrishna Bhattacharya
First Edition 1st edition: January 2021, 2nd Print: July 2023, ISBN978-93-80732-53-4, 128p.Paperback, 21.5 x 14cm.
Reviews

Customer Reviews 1 item(s)

একটি অবশ্যপাঠ্য প্রকাশনা
'দ্বন্দ্বতত্ত্ব জিজ্ঞাসা' । রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য ।
একটি অবশ্যপাঠ্য প্রকাশনা
অমিতাভ ভট্টাচার্য
অধ্যাপক রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য মার্কসীয় দর্শন বিষয়ে বাঙলাতে সুখপাঠ্য একটি “জিজ্ঞাসা” সিরিজ লিখেছেন । আগ্রহীদের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান এই সিরিজটির প্রকাশক অবভাস । বস্তুবাদ জিজ্ঞাসা (২০১৩), মার্কসবাদ জিজ্ঞাসা (২০১৬)-র পরে গেল জানুয়ারি মাসে বেরিয়েছে দ্বন্দ্বতত্ত্ব জিজ্ঞাসা । সিরিজটি লেখা তরুণ বামকর্মী, জগত্‌ সংসারের প্রতি আগ্রহ আছে এমন পাঠক আর সাধারণ অনুসন্ধিত্‌সুদের কথা মাথায় রেখে । দর্শনের সাধারণ ছাত্ররাও এই সিরিজটি পড়লে উপকৃতই হবেন । দর্শনের বইয়ের পারিভাষিক গোলকধাঁধাকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে এবং সেগুলোর আপাত জটিলতাগুলিকে পরিষ্কার করে মার্কসীয় দর্শনের একটি সুস্পষ্ট রূপ এভাবে বাঙলা ভাষায় আর তুলে ধরা হয়েছে কি না জানা নেই ।
মার্কস-এঙ্গেলস-এর হাতে দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের বিকাশ হওয়ার শুরু । এই দার্শনিক ঘরানার উত্থানের পরে সমস্ত ভাববাদী দর্শন আর সরল, যান্ত্রিক প্রভৃতি কাঁচা বস্তুবাদী দর্শনকে পাততাড়ি গোটাতে হয়েছে । বস্তুবাদী ধারণার ওপরে প্রতিষ্ঠিত দ্বন্দ্ব (ডায়ালেক্‌টিক্‌স) আর যুক্তি (লজিক)-ই এখন জীবন্ত রয়েছে ও বিকশিত হচ্ছে । ফরমাল লজিক নয়, দ্বান্দ্বিক যুক্তিবিদ্যা । বাকি সব দার্শনিক ঘরানা মরে অমর হয়েছে (অবশ্য অচল পয়সার মতোই হালে পুরনো কথা নতুন নতুন নামে চালানোর চেষ্টা হচ্ছে, যেমন আধুনিকোত্তরবাদ ইত্যাদি) । কারণ আর কোনো দর্শনতন্ত্রই দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের মতো এত নিখুঁত আর যুক্তিনিষ্ঠভাবে জগত্‌ ও সমাজ পরিবর্তনের ব্যাখ্যা করতে পারে না । কেউ যদি এখন শুধুমাত্র দর্শনচর্চার জন্যে দ্বৈত, অদ্বৈত, দ্বৈতাদ্বৈত ইত্যাদির চর্চা করেন তবে তাঁকে সবিনয়ে জানাই তিনি এখন শবসাধনা করছেন । ভাববাদী দর্শনের স্থান এখন শুধুই মানুষের চিন্তার বিবর্তন বা দর্শনের ইতিহাসে সীমাবদ্ধ । অথবা কেউ ভাষা শিখতে এগুলোর চর্চা করলেও করতে পারেন । তাই দ্বন্দ্বতত্ত্ব সম্বন্ধে একটা প্রাথমিক ধারণা থাকা সকলেরই উচিত । আর দ্বন্দ্বতত্ত্ব জিজ্ঞাসা বইটি শুধু প্রাথমিক কেন একেবারে মাধ্যমিক একটি ধারণা তৈরি করতে বিশেষ সহায়ক ।
মার্কস-এঙ্গেলস দ্বন্দ্বতত্ত্ব বা বস্তুবাদ আবিষ্কার করেন নি । তাঁদের হাতে এই দুটোর সমন্বয়ে একটি নতুন ধারণার বিকাশ ঘটেছে । যেমন দ্বন্দ্বতত্ত্বে হেগেলের অবদান বিশাল কিন্তু তার আধার ভাববাদ । মার্কসের কথায় হেগেলের দর্শনে দ্বন্দ্ব দাঁড়িয়েছিল মাথার ওপর ভর করে, তিনি তাকে নিজের পায়ে দাঁড় করিয়েছিলেন ।
দ্বন্দ্বর ধারণাটি কিন্তু বহু প্রাচীন । দ্বন্দ্বর মূল কথা হলো জগত্‌ অচল অনড় অনিত্য নয় । সবকিছুই সর্বদাই পরিবর্তনশীল । সবকিছুরই জন্ম, বিকাশ ও মৃত্যু হয় । একই সঙ্গে একটি জীব যেমন বেড়ে ওঠে তেমনি সে মৃত্যুর দিকেও এগিয়ে যায় । জড় জীব সবকিছুই আসলে পরস্পরবিরোধী দুটি শক্তির বিরোধ আর ঐক্যর দ্বন্দ্বর মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে চলে, পুরনোর গর্ভ থেকেই সম্পূর্ণ নতুন কিছুর জন্ম হয় । তার মানে সমাজও পরিবর্তনশীল, শাসকশ্রেণীও । রামকৃষ্ণবাবুর ভাষায়: “পরিবর্তনই জগতের নিয়ম । কথার খেলা করে বলা যায়: পরিবর্তমান ও পরিবর্তনশীল বিশ্বে পরিবর্তনই একমাত্র অপরিবর্তনীয় ।” প্রাচীন গ্রীসে হেরাক্লিটাস প্রমুখ দার্শনিকদের ভাবনায়, ভারতে বৌদ্ধ ও জৈন দর্শনে দ্বন্দ্বর প্রাথমিক রূপ দেখতে পাওয়া যায় । সেগুলো নিয়ে সমৃদ্ধ আলোচনা আছে বইটিতে । না ব্রাহ্মণ্য ধর্মে দ্বন্দ্বর নমুনা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর কারণ তা চিরকালই শাসক শোষকের পৃষ্ঠপোষকতায় চলা ধর্ম । সেখানে পরিবর্তনের অবশ্যই কোনো স্থান হবে না । তা হলে ব্রাহ্মণ-ক্ষত্রিয়র শাসন চিরকাল থাকবে না এমন ধারণা জনতার মধ্যে গেঁথে যাবে যে । ব্রাহ্মণ্য ঘরানার একটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গীতা আদতে পরস্পরবিরোধী অনেক মতের একটি বিস্বাদ খিচুড়ি । সেখানে অবশ্য নিত্যতাও আছে আর বৌদ্ধদের প্রভাবেই সম্ভবত অনিত্যতার কথাও আছে । দ্বন্দ্বতত্ত্ব জিজ্ঞাসা-য় এ নিয়েও আলোকপাত করা হয়েছে ।
বইটিতে আসে আরিস্তোতলীয় যুক্তিবিদ্যা আর দ্বান্দ্বিক যুক্তিবিদ্যার কথাও । দ্বন্দ্বতত্ত্বর তিনটি সূত্র হলো, ১ । বিপরীত সমূহের ঐক্য ও সঙ্ঘাত ২। পরিমাণগত পরিবর্তন থেকে গুণগত পরিবর্তন ৩ । নিরোধ-এর নিরোধ । লেখক জানিয়েছেন, “দ্বন্দ্বতত্ত্বয় যাঁদের সবে হাতেখড়ি হচ্ছে, হয়তো এই লেখা পড়ে, তাঁদের নিরুত্‌সাহ করার পক্ষে এই তিনটি নামই যথেষ্ট । প্রথম দুটি যদিও বা কারুর চেনা লাগে, তিন নম্বরটি তাঁকে ঘায়েল করবেই ।” আশ্বস্ত করছি, এই বইটি পড়লে ঘায়েল হবার সম্ভাবনা নেই । অক্ষত অবস্থাতেই দ্বন্দ্বতত্ত্বর সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা অর্জন করতে পারবেন । দ্বন্দ্বতত্ত্বর তিনটি সূত্রকে নিয়ে প্রাঞ্জল ভাষায় অথচ গভীরে গিয়ে দীর্ঘ আলোচনা চলেছে বইটিতে । বিশেষ করে বিপরীতের মধ্যে ঐক্য ও সঙ্ঘাত এবং নিরোধ-এর নিরোধ (নিগেশন অব নিগেশন) নিয়ে আলোচনাগুলি অত্যন্ত কাজের । মার্কসীয় দ্বন্দ্বতত্ত্বর বিকাশে মার্কস-এঙ্গেলস ছাড়াও লেনিন, প্লেখানভ, মাও সে তুং, লুকাচ প্রভৃতি বিশিষ্টদের দ্বন্দ্ব নিয়ে চিন্তার সুলুক-সন্ধান বইটিতে পাওয়া যাবে । ‘মার্কস-এর অসাবধানতা’ নামের উপ-অধ্যায়তে লেখক দেখিয়েছেন মার্কস নিজেও প্রতিটি ক্ষেত্রে দ্বান্দ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলতে পারেন নি । বিশেষ করে ভারতীয় এবং এশিয়ান সমাজ সম্পর্কে তিনি ‘অপরিবর্তনীয়’ ‘অপরিবর্তমান’ ইত্যাদি শব্দ লিখেছেন । এ ব্যাপারে প্রথম নজর করেন আর-এক অনুতাপহীন মার্কসবাদী দামোদর ধর্মানন্দ কোসম্বী । সব মিলিয়ে জগত্‌ আর সমাজকে বোঝার জন্যে একটি অবশ্যপাঠ্য বই । পারলে সংগ্রহ করুন এবং পড়ুন ।

সৌজন্য - ফেসবুক । Review by অমিতাভ ভট্টাচার্য / (Posted on 10/15/2021)